বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিদেশিদের উক্তি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিশ্বনেতা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা কী বলেছেন? ঐতিহাসিক উক্তি ও তাদের দৃষ্টিভঙ্গি জানুন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিদেশিদের উক্তি সম্পর্কে নিচে সুস্পষ্ট ধারণা প্রদান করা হয়েছে। গৌরবময় ইতিহাস বিশ্ববাসীর চোখে!
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিদেশিদের উক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে নিচের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন-
ভূমিকা:
যুদ্ধ ও রাজনীতি মানব সভ্যতার অবিচ্ছেদ্য অংশ। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিদেশিদের উক্তি প্রমাণ করে যে, এই সংগ্রাম শুধু একটি দেশের স্বাধীনতার লড়াই ছিল না, বরং তা বৈশ্বিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটেও গভীর প্রভাব ফেলেছিল। বিশ্বের বিভিন্ন নেতা, লেখক ও কূটনীতিকরা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ন্যায়সঙ্গততা ও বীরত্বের প্রশংসা করেছেন।
বর্তমানে, বিশ্বেও নানা স্থানে যুদ্ধ চলছে। অনেকেই জানতে চান, বর্তমানে কয়টি দেশে যুদ্ধ চলছে এবং এসব সংঘাতের কারণ কী? বিশেষ করে, বর্তমানে সংঘটিত স্বাধীনতা যুদ্ধ কেন এই যুদ্ধ হচ্ছে—এই প্রশ্নের উত্তর বিশ্লেষণ করতে গেলে আধুনিক বিশ্বরাজনীতির জটিলতা পরিষ্কার হয়ে ওঠে।
ক্ষমতার লড়াই, ভূরাজনৈতিক স্বার্থ ও মানবাধিকারের লঙ্ঘন এই যুদ্ধগুলোর মূল কারণ হিসেবে কাজ করছে। যুদ্ধ শুধু সামরিক সংঘাতের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এর প্রভাব আধুনিক বিশ্বের রাজনীতি ও যুদ্ধ সম্পর্কেও গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করে। আন্তর্জাতিক শক্তির ভারসাম্য, অর্থনৈতিক স্বার্থ ও রাজনৈতিক মতাদর্শ এসব যুদ্ধকে নিয়ন্ত্রণ করে।
অর্থনীতি এবং বাণিজ্যও বিশ্ব রাজনীতিতে বড় ভূমিকা রাখে। অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে হলে, আমাদের দেখতে হবে কীভাবে একটি দেশের অর্থনীতি কেবল নিজেদের বাজারেই সীমাবদ্ধ থাকে, আর কীভাবে বৈশ্বিক বাণিজ্যের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের মধ্যে পণ্য ও সেবা আদান-প্রদান হয়।
বৈশ্বিক অর্থনীতির বিকাশে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের গুরুত্ব অপরিসীম, কারণ এটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখে।এই লেখায় আমরা মুক্তিযুদ্ধের আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া, বর্তমান বিশ্বে সংঘটিত যুদ্ধ ও তার কারণ, আধুনিক রাজনীতি ও যুদ্ধের সংযোগ, এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের গুরুত্ব নিয়ে বিশদ আলোচনা করব।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিদেশিদের উক্তি:
এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিদেশিদের উক্তি নিয়ে, চলুন তাহলে শুরু করা যাক। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১ সালে সংঘটিত এক গৌরবময় অধ্যায়, যা কেবল এই অঞ্চলের জন্য নয়, বিশ্ব রাজনীতির ক্ষেত্রেও গভীর প্রভাব ফেলেছিল।
বিশ্বের বিভিন্ন নেতা, সাংবাদিক, সাহিত্যিক এবং মানবাধিকার কর্মীরা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন এবং এর ন্যায়সংগত সংগ্রামকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। বিদেশিদের দৃষ্টিতে মুক্তিযুদ্ধবাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক নেতারা, সাংবাদিক এবং বুদ্ধিজীবীরা এ নিয়ে নানা মূল্যবান উক্তি করেছেন।
তারা যুদ্ধকালীন মানবিক বিপর্যয়, পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরতা এবং বাঙালিদের সাহসী সংগ্রামের প্রশংসা করেছেন।
১. ইন্দিরা গান্ধী (ভারতের প্রধানমন্ত্রী, ১৯৭১) "বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ কেবল বাঙালির স্বাধীনতার লড়াই নয়, এটি মানবতার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচনের লড়াই।"
২. অ্যান্তোনিও ক্যারো (ইতালীয় সাংবাদিক) "আমি আমার জীবনে এত নিষ্ঠুরতা দেখিনি, যেখানে একটি জাতিকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।"
৩. এডওয়ার্ড কেনেডি (মার্কিন সিনেটর)"বাংলাদেশের জনগণ এক মহৎ মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে তাদের স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বিশ্ববাসীর উচিত তাদের এই সংগ্রামকে সম্মান জানানো।"
৪. সিডনি শনবার্গ (নিউ ইয়র্ক টাইমসের সাংবাদিক) "১৯৭১ সালে বাংলাদেশে যা ঘটেছে, তা বিশ্ব ইতিহাসের অন্যতম নিষ্ঠুর গণহত্যার উদাহরণ।"
বর্তমানে কয়টি দেশে যুদ্ধ চলছে:
এই আর্টিকেলে শুরুতেই আমরা আলোচনা করেছি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিদেশিদের উক্তি সম্পর্কে। এখানে বিস্তারিত আলোচনা করব বর্তমানে কয়টি দেশে যুদ্ধ চলছে নিয়ে। চলুন তাহলে শুরু করা যাক। বর্তমান বিশ্বে যুদ্ধ ও সংঘাতের প্রভাব সর্বত্র বিদ্যমান। বিভিন্ন দেশে চলমান যুদ্ধ ও সশস্ত্র সংঘর্ষের কারণে মানবিক সংকট, অর্থনৈতিক বিপর্যয় এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তবে, সঠিকভাবে নির্দিষ্ট করা কঠিন যে বর্তমানে ঠিক কতটি দেশে যুদ্ধ চলছে, কারণ সংঘর্ষের মাত্রা ও প্রকৃতি বিভিন্ন হতে পারে। চলমান উল্লেখযোগ্য সংঘর্ষ ইউক্রেন: ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে, যা এখনও চলছে। এই সংঘর্ষে হাজারো মানুষ নিহত ও বাস্তুচ্যুত হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্য: ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে সংঘর্ষ দীর্ঘদিন ধরে চলছে।
সাম্প্রতিক সময়ে গাজায় সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা মানবিক সংকটের সৃষ্টি করেছে। আফ্রিকা: কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র, সোমালিয়া, এবং ইথিওপিয়ার কিছু অঞ্চলে সশস্ত্র সংঘর্ষ ও গৃহযুদ্ধ চলছে, যা স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে।
যুদ্ধের প্রভাব যুদ্ধ ও সংঘর্ষের ফলে: মানবিক সংকট: নিহত ও আহতের সংখ্যা বৃদ্ধি, শরণার্থী সংকট, এবং খাদ্য ও চিকিৎসা সেবার অভাব।অর্থনৈতিক বিপর্যয়: অবকাঠামোর ধ্বংস, বাণিজ্যিক কার্যক্রমের স্থবিরতা, এবং বেকারত্বের হার বৃদ্ধি।রাজনৈতিক অস্থিরতা: সরকারি কাঠামোর পতন, আইনশৃঙ্খলার অবনতি, এবং সুশাসনের অভাব।
বর্তমানে সংঘটিত স্বাধীনতা যুদ্ধ কেন এই যুদ্ধ হচ্ছে:
এই আর্টিকেলের শুরু থেকেই আমরা আলোচনা করছি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিদেশিদের উক্তি সম্পর্কে। এখন বর্তমানে আমরা আলোচনা করব বর্তমানে সংঘটিত স্বাধীনতা যুদ্ধ কেন এই যুদ্ধ হচ্ছে নিয়ে।
চলুন তাহলে শুরু করা যাক।বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে স্বাধীনতার জন্য সংগ্রামরত জাতিগুলো তাদের স্বতন্ত্র পরিচয়, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং রাজনৈতিক অধিকার রক্ষার জন্য লড়াই করছে। এই যুদ্ধগুলোর পেছনে রয়েছে ঐতিহাসিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক বিভিন্ন কারণ। স্বাধীনতা যুদ্ধের কারণসমূহ
১. ঐতিহাসিক পটভূমি: অনেক জাতি অতীতে উপনিবেশবাদ, সাম্রাজ্যবাদ বা বৈষম্যের শিকার হয়েছে। এই ঐতিহাসিক অবিচার তাদের মধ্যে স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা জাগিয়েছে। সাংস্কৃতিক ও জাতিগত পার্থক্য: বিভিন্ন জাতি ও সংস্কৃতির মধ্যে পার্থক্য প্রায়ই সংঘাতের কারণ হয়। যখন একটি জাতি তাদের ভাষা, সংস্কৃতি বা ধর্মীয় পরিচয় রক্ষায় বাধার সম্মুখীন হয়, তখন স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম শুরু হয়।
রাজনৈতিক নিপীড়ন: স্বৈরাচারী শাসন, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং রাজনৈতিক অংশগ্রহণের অভাব জনগণকে বিদ্রোহে উত্সাহিত করে। অর্থনৈতিক বৈষম্য: সম্পদের অসম বণ্টন, দারিদ্র্য এবং উন্নয়নের অভাব স্বাধীনতার জন্য লড়াইয়ের কারণ হতে পারে। সমসাময়িক উদাহরণ বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ চলছে।
তবে, এই যুদ্ধগুলোর প্রকৃতি ও কারণ ভিন্ন ভিন্ন। ইউক্রেন: ২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ করে, যা এখনও চলছে। এই সংঘর্ষে হাজারো মানুষ নিহত ও বাস্তুচ্যুত হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্য: ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে সংঘর্ষ দীর্ঘদিন ধরে চলছে।
সাম্প্রতিক সময়ে গাজায় সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা মানবিক সংকটের সৃষ্টি করেছে। আফ্রিকা: কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র, সোমালিয়া, এবং ইথিওপিয়ার কিছু অঞ্চলে সশস্ত্র সংঘর্ষ ও গৃহযুদ্ধ চলছে, যা স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে।
আধুনিক বিশ্বের রাজনীতি ও যুদ্ধ:
আমরা সর্বপ্রথম আর্টিকেলটা শুরু করেছিলাম বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিদেশিদের উক্তি নিয়ে। মাঝখানে অনেক বিষয়ের আলোচনা হয়েছে। এখন বর্তমানে আলোচনা করব আধুনিক বিশ্বের রাজনীতি ও যুদ্ধ নিয়ে। চলুন তাহলে শুরু করা যাক। বর্তমান সময়ে আধুনিক বিশ্বের রাজনীতি ও যুদ্ধ একে অপরের সাথে গভীরভাবে সম্পর্কিত।
প্রযুক্তির অগ্রগতি, বৈশ্বিক অর্থনীতি, এবং সামাজিক পরিবর্তনের কারণে রাজনীতি এবং যুদ্ধের গতিপথ একেবারে নতুন মোড় নিয়েছে। আধুনিক রাজনীতি শুধুমাত্র দেশীয় সীমার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও জোটের মাধ্যমেও প্রতিফলিত হয়।আধুনিক রাজনীতির বৈশিষ্ট্য
১. গ্লোবালাইজেশন: আধুনিক রাজনীতি বিশ্বব্যাপী সংযুক্তি ও সম্পর্কের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠছে। বিশ্বায়নের ফলে জাতীয় রাজনীতির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক রাজনীতি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
২. প্রযুক্তির প্রভাব: তথ্য প্রযুক্তির অগ্রগতি রাজনৈতিক প্রচারণা এবং জনগণের সাথে সরকারের যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটিয়েছে। এখন বিভিন্ন সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলি সামাজিক মাধ্যমে তাদের মতাদর্শ প্রচার করছে।
৩. আন্তর্জাতিক সংঘাত: আধুনিক রাজনীতি শুধুমাত্র শান্তিপূর্ণ আলোচনা এবং আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজে বের করার প্রচেষ্টা নয়, বরং বিভিন্ন দেশ এখনো সামরিক শক্তি ব্যবহার করতে প্রস্তুত। এর মধ্যে আঞ্চলিক সংঘাত এবং আন্তর্জাতিক যুদ্ধের ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছে। আধুনিক যুদ্ধের প্রকৃতি আজকাল যুদ্ধের ধরনও বদলে গেছে।
পূর্বের ক্লাসিক যুদ্ধের চেয়ে বর্তমানে সাইবার আক্রমণ, অর্থনৈতিক যুদ্ধ, এবং নিরস্ত্র সংঘর্ষের দিকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। আধুনিক যুদ্ধগুলি এখন আর শুধুমাত্র সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘটিত হয় না, বরং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং মানুষের দৈনন্দিন জীবনে প্রবাহিত হয়ে তাদের উপর প্রভাব ফেলে।
অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মধ্যে পার্থক্য:
আমরা আলোচনাটি শুরু করেছিলাম বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিদেশিদের উক্তি নিয়ে। এখন আলোচনা করব অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে। বাণিজ্য অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা একটি দেশের আর্থিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করে। মূলত, বাণিজ্যকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়: অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য।
অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য দেশের অভ্যন্তরে পরিচালিত হয়, যেখানে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য দুই বা ততোধিক দেশের মধ্যে হয়ে থাকে। অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য হলো একটি নির্দিষ্ট দেশের অভ্যন্তরে পরিচালিত লেনদেন, যেখানে ব্যবসায়ীরা স্থানীয় বাজারে পণ্য ও সেবা ক্রয়-বিক্রয় করে। এর প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ:একই মুদ্রায় লেনদেন হয়, যেমন বাংলাদেশে টাকায় বাণিজ্য করা হয়।
ভোক্তাদের জন্য আমদানি শুল্ক বা অতিরিক্ত ব্যয়ের প্রয়োজন হয় না। পরিবহন খরচ তুলনামূলকভাবে কম এবং সরবরাহ ব্যবস্থা দ্রুত সম্পন্ন হয়। বাণিজ্য দুটি বা তার বেশি দেশের মধ্যে সম্পন্ন হয়, যেখানে বিভিন্ন ধরনের অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং রাজনৈতিক বিষয় জড়িত থাকে। এর বৈশিষ্ট্যসমূহ:এতে বিভিন্ন মুদ্রা ব্যবহৃত হয়, ফলে মুদ্রার বিনিময় হার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
শুল্ক, আমদানি-রপ্তানি কর এবং কাস্টমস নীতি অনুসরণ করতে হয়। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং বাণিজ্য চুক্তির ওপর নির্ভরশীল। অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রধান পার্থক্য বিষয়অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যআন্তর্জাতিক বাণিজ্যসীমারেখা দেশের অভ্যন্তরে সীমাবদ্ধ একাধিক দেশের মধ্যে পরিচালিত মুদ্রা একই মুদ্রায় লেনদেন বিভিন্ন মুদ্রার বিনিময় প্রয়োজন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা স্থানীয় সরকার নিয়ন্ত্রিত আন্তর্জাতিক সংস্থা ও চুক্তি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত বাধা তুলনামূলক কম শুল্ক, কোটা, আমদানি-রপ্তানি বিধিনিষেধ
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের গুরুত্ব:
আমরা আর্টিকেলের একদম শুরুতে ছিলাম বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিদেশিদের উক্তি সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে। এখন সর্বশেষে আলোচনা করব আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের গুরুত্ব নিয়ে। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আধুনিক অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা বিশ্বব্যাপী দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন ও উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখে। এটি পণ্য, সেবা, প্রযুক্তি এবং মুদ্রার বিনিময়ের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রধান গুরুত্ব
১. অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মাধ্যমে দেশগুলো বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারে, যা অর্থনীতির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি দেশীয় উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও সহায়ক।
পণ্য ও সেবার বৈচিত্র্য বৃদ্ধি বিভিন্ন দেশের মধ্যে বাণিজ্য হওয়ার ফলে ভোক্তারা দেশীয় পণ্যের পাশাপাশি বিদেশি উন্নতমানের পণ্য ও সেবা পেতে পারে, যা জীবনযাত্রার মান উন্নত করে। প্রযুক্তি এবং জ্ঞান বিনিময় আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ফলে বিভিন্ন দেশ প্রযুক্তিগত উন্নয়ন এবং গবেষণা সুবিধা লাভ করতে পারে। উন্নত দেশগুলো তাদের প্রযুক্তি ও দক্ষতা অনুন্নত দেশগুলোর সাথে ভাগ করে নেয়, যা সামগ্রিক উন্নয়নের পথ সুগম করে।
রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়ন আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এটি কূটনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়তা করে এবং আন্তর্জাতিক সংঘাত কমাতে ভূমিকা রাখে। প্রাকৃতিক সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার প্রতিটি দেশের নিজস্ব কিছু প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে, যা তারা উৎপাদনে ব্যবহার করে।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মাধ্যমে এক দেশ অন্য দেশের সম্পদ ব্যবহার করে নিজেদের চাহিদা পূরণ করতে পারে।
লেখকের কথা:
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ছিল এক ঐতিহাসিক বিপ্লব, যেখানে সাধারণ মানুষ স্বাধীনতার জন্য অসীম ত্যাগ স্বীকার করেছে। এই মহান সংগ্রামের প্রতি কেবল বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্ববাসীর নজর ছিল। অনেক বিদেশি ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক, লেখক এবং রাষ্ট্রনায়ক এই যুদ্ধ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ মতামত প্রকাশ করেছেন, যা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্ব ও ন্যায়সঙ্গত দাবিকে আরও দৃঢ় করেছে।
এই প্রবন্ধে আমি চেষ্টা করেছি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে বিভিন্ন বিদেশি ব্যক্তিত্বের উক্তি সংকলন করতে, যা যুদ্ধকালীন বাস্তবতা ও আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়ার প্রতিফলন ঘটায়। এটি শুধুমাত্র একটি ঐতিহাসিক দলিল নয়, বরং আমাদের স্বাধীনতার মূল্য কত গভীর ছিল তা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার একটি প্রচেষ্টা। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাস যেন ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য প্রেরণা হয়ে থাকে এবং স্বাধীনতার চেতনাকে বাঁচিয়ে রাখে—এটাই আমার লেখার প্রধান উদ্দেশ্য।